প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনীর আগে পৃথকভাবে বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শিগগিরই জানানো হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
একসময় দেশের প্রাথমিক শিক্ষায় পঞ্চম শ্রেণিতে বৃত্তি পরীক্ষার প্রচলন ছিল। বার্ষিক পরীক্ষার পর পৃথক ব্যবস্থাপনায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতো। ক্লাসের মেধাবী ও আগ্রহী শিক্ষার্থীদের এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হতো। ফলাফলের ভিত্তিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হতো।
বেশ কয়েক বছর বন্ধ থাকার পর, প্রাথমিক শিক্ষায় আবারও পুরোনো পদ্ধতিতে পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা ফিরিয়ে আনার আলোচনা চলছে। এবারও বাছাইকৃত মেধাবী ও আগ্রহী শিক্ষার্থীদের এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা চালু করলে, পৃথক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়। তবে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২০২০ সালে পিইসি পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০২২ সালে স্থায়ীভাবে পিইসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়। একই সঙ্গে জেএসসি পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুনঃ- ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা হবে যে নতুন নিয়মে
২০২৩ সালে চালু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রমে পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ফলে পৃথকভাবে বৃত্তি পরীক্ষা পুনরায় চালু হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে বৃত্তি পরীক্ষা স্থায়ীভাবে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ বাতিল করলেও ২০১২ সালের সৃজনশীল পদ্ধতি বহাল রেখেছে। এতে আগের ধারায় বার্ষিক পরীক্ষার প্রক্রিয়া ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।