বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আবেদনকারীদের যোগ্যতা, পরীক্ষা পদ্ধতি এবং গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভর্তি প্রক্রিয়া ও পরীক্ষা পদ্ধতি
বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে—প্রাক্-নির্বাচনী ও মূল পরীক্ষা।
- প্রাক্-নির্বাচনী পরীক্ষা: প্রথম ধাপে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়া হবে। এটি দুটি শিফটে অনুষ্ঠিত হবে এবং সময় বরাদ্দ থাকবে ১ ঘণ্টা।
- মূল ভর্তি পরীক্ষা: প্রাক্-নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শীর্ষ ৬,০০০ শিক্ষার্থী মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।
ভুল উত্তরের জন্য নম্বর কর্তন
প্রাক্-নির্বাচনী পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
- মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৫.০০-এর মধ্যে ন্যূনতম জিপিএ ৪.০০ (মাধ্যমিক) এবং উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে উচ্চতর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নে জিপিএ ৫.০০ অর্জন করতে হবে।
- GCE ‘O’ Level এবং ‘A’ Level প্রার্থীদের জন্য:
- O লেভেলে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং ইংরেজিসহ ৫টি বিষয়ে ন্যূনতম ‘বি’ গ্রেড থাকতে হবে।
- A লেভেলে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নের মধ্যে ২টি বিষয়ে ন্যূনতম ‘এ’ এবং ১টিতে ‘বি’ গ্রেড থাকতে হবে।
বাছাই প্রক্রিয়া
- মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে প্রথম ধাপে শীর্ষ ১৮,০০০ আবেদনকারীকে প্রাক্-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে।
- O/A লেভেল প্রার্থীদের মধ্যে গ্রেডের ভিত্তিতে শীর্ষ ৪০০ জন প্রাক্-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।
পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ
প্রাক্-নির্বাচনী পরীক্ষার মেধাক্রম অনুযায়ী প্রতি শিফটের শীর্ষ ৩,০০০ জনকে মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত করা হবে। তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে।
বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি, ফলাফল এবং অন্যান্য নির্দেশনা সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (www.buet.ac.bd) ভিজিট করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: পূর্বে বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা পুনরায় আবেদন করার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।