চালুর মাত্র দু’দিনের মধ্যেই আকাশছোঁয়া দামে বিক্রি হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অফিসিয়াল মিম কয়েন “ট্রাম্প”। লঞ্চের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই কয়েনটির দাম বেড়েছে শতকরা ৪০ হাজার শতাংশেরও বেশি।
লঞ্চ এবং দ্রুত মূল্য বৃদ্ধি
শুক্রবার ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে লঞ্চ করা হয় “ট্রাম্প” নামের মিম কয়েনটি। লঞ্চের সময় এক একটি কয়েনের মূল্য ছিল মাত্র ১৮ সেন্ট। কিন্তু কয়েনটি হটকেকের মতো বিক্রি হওয়ায় রবিবার এর মূল্যমান পৌঁছায় ৭৫ ডলারে। বাজার পর্যবেক্ষকদের তথ্য অনুযায়ী, ইতোমধ্যেই এই কয়েন প্রায় ১,৩০০ কোটি ডলারের ব্যবসা করেছে।
বিনিয়োগকারীদের প্রতিক্রিয়া
বারস্টুল স্পোর্টসের প্রতিষ্ঠাতা ডেভিড পোর্টনয় জানান, কয়েনটি লঞ্চ হওয়ার পর তিনি ৫ লাখ ডলারের “ট্রাম্প” কয়েন কিনেছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় দাম বৃদ্ধি শুরু হলে রবিবার তিনি সেগুলো বিক্রি করেন এবং ২০০ শতাংশ লাভ করেন। পোর্টনয় বলেন, “আমি ট্রাম্পের আমেরিকাকে ভালোবাসি! এখন ঘুমাতে যাচ্ছি।”
মার্কেট ট্রেন্ড এবং প্রতিক্রিয়া
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের আরেক ব্যবহারকারী জানান, লঞ্চের সময় ১০ ডলারের সমপরিমাণ “ট্রাম্প” কিনেছিলেন। এখন সেগুলোর মূল্য বেড়ে হয়েছে ৩৬ কোটি ১০ লাখ ডলার। তিনি বলেন, “আমি জিতেছি… হা হা। এই মুহূর্তে আমি আমার কয়েনগুলো বিক্রি করছি না।”
অনেকেই এই মিম কয়েনটির পেছনে ট্রাম্প পরিবারের পরিকল্পনার সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, “এটা ট্রাম্প পরিবারের একটি কৌশল। তারা জানে কখন কীভাবে ব্যবসা করতে হয়। এভাবেই ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে।”
বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা
মার্কেট বিশ্লেষকরা এই ধরনের দ্রুত বৃদ্ধির প্রবণতাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন। একই সঙ্গে তারা বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ক্রিপ্টো মার্কেটে ট্রাম্পের এই সাফল্য সমালোচনা ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য একদিকে আশার আলো, আবার অন্যদিকে সতর্কতার কারণ।