লন্ডন হিথরো বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান তারেক রহমান এবং পুত্রবধু জোবায়দা রহমান

তারেক রহমান এবং পুত্রবধূর সাথে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া
ছবিঃ তারেক রহমান এবং পুত্রবধূর সাথে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া

বিএনপির চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পৌঁছেছেন।

যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় বুধবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে খালেদা জিয়াকে বহনকারী বিশেষ উড়োজাহাজটি হিথরো বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। এ সময় যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হযরত আলী খান ফুল দিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান।

বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়াকে হিথরো বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হাসপাতালে নেওয়া হবে। ‘লন্ডন ক্লিনিক’-এ তাঁর ভর্তি হওয়ার কথা রয়েছে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডন সফরের পর এটি খালেদা জিয়ার প্রথম বিদেশ যাত্রা। দীর্ঘ সময় পর তাঁর সঙ্গে ছেলে তারেক রহমানের সরাসরি দেখা হলো।

বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদসহ দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, মঙ্গলবার রাতে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া। বিমানবন্দরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ নেতারা তাঁকে বিদায় জানান।

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। ২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় কারাগারে যাওয়ার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটে।

২০২৩ সালের অক্টোবরে ঢাকায় জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তাঁর শরীরে একটি জটিল অস্ত্রোপচার করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, লিভার সিরোসিসের কারণে খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপন জরুরি। এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রায় দুই মাস সময় লাগতে পারে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসা শেষে খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করতে যেতে পারেন। এরপর দেশে ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *