বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের ইংরেজি শিক্ষা প্রদানের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে হেইলিবেরি ভালুকা। এটি একটি প্রিমিয়াম আন্তর্জাতিক বোর্ডিং স্কুল, যেখানে ১১ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নতমানের শিক্ষা ও জীবনযাপনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়।
শিক্ষার উৎকর্ষতায় অঙ্গীকারবদ্ধ এই প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সাফল্যের পাশাপাশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং মানসিক বিকাশে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বিদ্যালয়টি আধুনিক শিক্ষার মানদণ্ড প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক শিক্ষার এক নতুন মাইলফলক তৈরি করেছে।
যুক্তরাজ্যের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে প্রথম শাখা
১৬০ বছরের গৌরবময় ইতিহাস ধারণ করা যুক্তরাজ্যের ঐতিহ্যবাহী হেইলিবেরি স্কুল এবার বাংলাদেশে তাদের প্রথম শাখা চালু করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশকে প্রথম গন্তব্য হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়নকে উল্লেখ করেছে হেইলিবেরি কর্তৃপক্ষ। ময়মনসিংহের ভালুকায় অবস্থিত এই স্কুলটির প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছে বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেড।
ক্যাম্পাসের বিশেষত্ব
ভালুকার ধামশুর গ্রামে প্রায় ২০ একর জায়গায় নির্মিত হেইলিবেরি ভালুকার ক্যাম্পাসে রয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন চারতলা একাডেমিক ভবন এবং ছয়তলা আবাসিক ভবন। এতে রয়েছে ৪৬টি আধুনিক শ্রেণিকক্ষ, তিনটি বিজ্ঞান ল্যাব, একটি কম্পিউটার ল্যাব, মিউজিক রুম, জিমনেসিয়াম, একটি বিশাল অডিটোরিয়াম এবং সেমিনার রুম।
আবাসিক ভবনে রয়েছে ৩৯৬টি কক্ষ। ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতি কক্ষে চারজন এবং দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতি কক্ষে দুজন করে থাকার সুযোগ পাবেন। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ফুটবল, ক্রিকেট, টেনিস, গলফ ও বাস্কেটবল খেলার ব্যবস্থা।
স্কলারশিপ এবং মেধাবীদের সুযোগ
বিদ্যালয়ের বার্ষিক টিউশন ফি প্রায় ৪১ লাখ ৫০ হাজার টাকা হলেও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিশেষ স্কলারশিপ ফান্ড। স্কুলের একাডেমিক ডিরেক্টর ড. সন্দ্বীপ আনন্থানারায়ণ জানান, কগনেটিভ অ্যাপটিটিউট টেস্টে (ক্যাট) ভালো ফলাফল করা শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের সন্তান ভর্তি পরীক্ষায় অসাধারণ ফল করে শতভাগ স্কলারশিপ পেয়ে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ পেয়েছে।
আন্তর্জাতিক শিক্ষার কেন্দ্র হয়ে ওঠার লক্ষ্য
হেইলিবেরি ভালুকার উদ্দেশ্য শুধু বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ নয়। প্রতিষ্ঠানটি দক্ষিণ এশিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় শিক্ষার সমন্বয়ে একটি কেন্দ্রীয় বিদ্যাপীঠ হয়ে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে। প্রতিষ্ঠানটি আশা করছে, এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিশ্বমানের শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি নতুন দক্ষতা ও মনোভাব গড়ে তুলবে।
ভর্তি প্রক্রিয়াঃ ওয়েবসাইট